Wednesday, July 25, 2018

Bandarban

2 Comments

Bandarban

বান্দরবান  চট্টগ্রাম বিভাগে এবং দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে অবস্থিত। তার আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য এবং স্বর্গীয় নাটুকে সৌন্দর্যের জন্য এটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভ্রমণের স্থান। নিখুঁত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার আত্মা উদ্বুদ্ধ করা যায়। বান্দরবানে বাংলাদেশের তিনটি সর্বোচ্চ শিখর রয়েছে- তাজিংডং এবং কেওকরাডং। যে কেউই এই তিনটি আল্লাহর অপূর্ব  সৃষ্টিকে জয় করার জন্য সহজেই জঙ্গল ও পাহাড়ী নদীগুলির মধ্য দিয়ে যেতে পারেন। বান্দরবানের পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য জলপ্রপাত। উপজাতীয় মানুষ যেমন খাবার, উপজাতীয় হস্তশিল্প ইত্যাদি বিদেশী উৎসব আপনার হৃদয়কে আনন্দিত করবে। এদিকে আপনি সহজেই আদিবাসী সংস্কৃতির খুব ঘনিষ্ঠভাবে অভিজ্ঞতা করতে পারেন।

 নীলাচল, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, নীলগিরি, কোয়ান্টাম, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাত, মিলনছড়ি, চিম্বুক, সাঙ্গু নদী, মাতামুহুরী নদী, তাজিলডং, কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝরণা, বগালেক, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, নাফাখুম জলপ্রপাত, আলীকদমের আলী সূড়ং, নাফাকুম, সাফাকুম, আমিয়াকুম, সাতভাইকুম, জাদিপাই ঝর্না, ডাবল ফলস, আলী কদম গুহা, রিমাক্রি, মিরিঞ্চা, উপবন লেক, শুভ্রনীল প্রভৃতি।

‘বাংলার দার্জিলিং’’ খ্যাত চিম্বুক পাহাড় বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। চিম্বুক পাহাড় বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বচ্চো পাহাড়। এটি জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ট হতে এর উচ্চতা প্রায় ২৬০০ ফুট। . সৌন্দর্যে ঘেরা চিম্বুক: চিম্বুকে যাওয়ার পথের পাশে রয়েছে অসংখ্য উপজাতির আবাসস্থল। ঘরগুলো মাচার মতো উঁচু করে তৈরি। চিম্বুকের চূড়া থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু পাহাড় আর পাহাড়। 
Chimbuk Hill, Bandarban, Bangladesh
Beauty of Bangladesh চিম্বুক পাহাড়


সবুজ-শ্যামল পাহাড়ের দৃশ্য চোখ জুড়ানোর অবস্থা। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে প্রবাহমান সাংগু নদী যা আপনাকে নিয়ে যাবে অনেক দূরে। ভাগ্য যদি ভাল হয় আর আবহাওয়া যদি আপনার পক্ষে থাকেতেবে চিম্বুকের চূড়ায় দাড়িয়ে ছুয়ে দেখতে পারেন মেঘের দলকে। সে এক অসাধারন অনুভূতি। এখানে থাকার জন্য সড়ক বিভাগের একটি রেস্ট হাউস রয়েছে । ইহা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি অত্যাধুনিক রেষ্ট হাউজ এখানে নির্মিত হয়েছে। কতৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এখানেও রাত্রি যাপন করতে পারেন। এই রেষ্টহাউজে রাত্রি যাপনের অনুভূমি সম্ভবত একেবারেই আলাদা। এমন নির্জন পাহাড়ের চুড়ায় চাঁদের সাথে নিশি বন্ধত্বা আপনাকে নষ্টালজিয়া করে তুলবে। এটি এতটাই অপরূপ যে সারা জীবন যদি একটি ভ্রমনের কথা সবাইকে বলতে হয় তবে হয়তো আপনি চিম্বুকের রাত্রিযাপনের বনর্নাই দিবেন। . যেভাবে যাবেন: ইউনিক, এস.আলম সহ বেশ কয়েকটি বাসে করে ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দবন যেতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। বান্দরবন শহর থেকে চান্দেরগাড়ী কিংবা জীপগাড়ী করে যাওয়া যায় চিম্বুকে। ভ্রমন প্রিয়সী বন্ধুরা, আপনার যারা এখনো চিম্বুক পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখেননি তারা সময় সুযোগ বুঝে ঘরে আসতে পারেন বাংলার দার্জেলিং থেকে।






রুমা উপজেলা, রিজুক জলপ্রপাতটি অবস্থিত । এটি প্রায় 300 ফুট উঁচুতে থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে সাংগু নিদীতে পড়ে । 
Rijuk Fountain, Bandarban
Beauty of Bangladesh রিজুক ঝর্ণা

এই জলপ্রপাত বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ দ্বারা পরিবেষ্টিত । এটি বান্দরবান শহর থেকে 66 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে।

বাংলাদেশের দার্জিলিং’ নীলগিরি


বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৫২/৪৭ কিলোইমটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি সড়কে পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি পর্যটন কেন্দ অবস্থিত।সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,২০০ ফুট উচ্চতায় এই পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ এই জায়গা থেকে পর্যটকরা সহজেই মেঘ ছুঁতে পারেন বলে একে বাংলাদেশের দার্জিলিংও বলা হয়৷ নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে যে দিকে চোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ৷ চারপাশে সবুজের সমারোহ আর নির্জন প্রকৃতি নীলগিরির অন্যতম আকর্ষণ৷

Bandarban Nilgiri, Darjeeling of Bangladesh
Beauty of Bangladesh নীলগিরি 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন কর্তৃক চিম্বুক-থানচি সড়কটি নির্মাণের সময় ম্রো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বান্দরবান থানিছ সড়কের কাপ্রু পাড়া এলাকায় প্রথমে নিরাপত্তা চৌকি হিসেবে এটি নিমিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাএদর পরিকল্পনায় এটি একটি পর্যটন কেন্দ্রের পূর্ণতা লাভ করে। এখানে মেঘদূত, আকাশনীলা, নীলাঙ্গনা, মারমা হাউজসহ নানা নামের আকর্ষীয় কটেজ রয়েছে। আছে একটি ক্যাফেটেরিয়া। বর্তমানে দেশি বিদেশি পর্যটকরা প্রতিদিনই নীলগিরি ভ্রমণে আসছেন।
Nilgiri, Bandarban
Beauty of Bangladesh নিলগীড়ি 
দিনের বেলায় এই স্থান থেকে খালি চোখে বঙ্গোপসাগর ও জাহাজ চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া ছোট ছোট পাহাড়ের কোল ঘেয়ে বয়ে যাওয়া সাঙ্গু নদীর আকাবাকা দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সকলকে আকর্ষণ রে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই নীলিগিরি রিসোর্টে অবস্থান ও রাত্রিযাপনের জন্য সেনাবাহিনীর বান্দরবান ব্রিগেড হেডকোয়াটার এর সাথে আগাম যোগাযোগ করতে হয়। প্রকৃতির অপরুপ মনমুগ্ধকর নয়নাভিরাম এই দৃশ্যগুলি পর্যটকদের স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য নীলগিরি রিসোর্ট অত্যন্ত চমকার একটি স্থান। এই স্থানটি অনেকের নিকট বাংলার দার্জিলিং নামে পরিচিত।

বগা লেক


বগা লেক বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক হ্রদ। এটি ব্যাগকেন লেক বা বাগা লেকের নামেও পরিচিত। বান্দরবানে রুমা সদর উপজেলা থেকে 18 কিলোমিটার দূরে বগা হ্রদ অবস্থিত।  এই হ্রদটির প্রায় 15 একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি সমুদ্রতল থেকে 3000 ফুট উপরে। এই হ্রদের জল রঙ নীল এবং খুব সুন্দর। এই হ্রদটি নির্মাণের পিছনে অনেক পৌরামাণিক গল্প রয়েছে। 
Baga Lake, Beauty of Bangladesh
Beauty of Bangladesh বগা লেক

Baga Lake, Beauty of Bangladesh
Beauty of Bangladesh বগা লেক


রুমা থেকে বোগা হ্রদ পর্যন্ত রাস্তা এখনও নির্মাণাধীন। বগা হ্রদে আপনার জন্য অনেক আনন্দ অপেক্ষা করছে আপনি অবশ্যই বগা হ্রদের মধ্যে এবং বাইরে বড় বড় পাথরের দিকে তাকিয়ে আশ্চর্য হয়ে যাবেন। আপনি হ্রদ পাশে একটি ক্যাম্প ফায়ার ও দেখতে পারেন।  অবিশ্বাস্য এবং আপনার জীবনের স্মৃতিতে স্মরণীয় করে রাখার মত কয়েকটি দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে।






মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স

বান্দরবান শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের পাশেই পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স অবস্থিত। পাহাড়ের খাদে বাধঁ নির্মান করে কৃত্রিম হ্রদের সৃষ্টি করা হয়েছে । বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। বেড়াতে আসা পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে শিশুপার্ক, নৌকা ভ্রমনের সুবিধা, ঝুলন্ত সেতুর মাধ্যমে চলাচলের ব্যবস্থা এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য একটি রেষ্টহাউস। এছাড়া আকর্ষণীয় একটি চিড়িয়াখানা এ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বহুগুন। মেঘলায় ২টি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। জনপ্রতি ১০/- মূল্যে টিকেট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সারা দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে আসেন। নিরিবিলিতে স্বপরিবারে বেড়ানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা ।
Cloudy hanging bridge
Beauty of Bangladesh মেঘলা পর্য
চন কেন্দ্র

নাম মেঘলা হলেও মেঘের সাথে মেঘলা পর্যটন স্পটের কোন সর্ম্পক নেই। এ যেন ভুমিতেই বিছানো হয়েছে সুন্দরের গালিচা। বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৫ কি:মি: আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। বৈচিত্র্যপিয়াসী মানুষের আত্মিক ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণের অপূর্ব স্থান মেঘলা ।
Cloudy hanging bridge
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র

লেকের উপরে রয়েছে আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। চিত্তবিনোদনের অন্যান্য নানা উপকরণের মধ্যে রয়েছে শিশুপার্ক , সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো পাহাড়ী বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি। 

Cloud Tourist Center, Bangladesh
Beauty of Bangladesh মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
সাময়িক অবস্থানের জন্য এটি একটি চমৎকার রেষ্ট হাউজ। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।

Cloud Tourist Center, Bangladesh
Beauty of Bangladesh মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র

‘নীলাচল’
বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছে সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র সম্ভবত নীলাচল৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৬০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে বান্দরবান জেলা পরিষদ৷ জেলা শহর থেকে এর অবস্থান প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়া এলাকায়৷নীলাচলে মেঘের ভেলার ওপাশে মনোরম সূর্যোদয়৷

Nilachal, Bandarban, Beauty of bangali
Beauty of Bangladesh নীলাচল, বান্দরবান
 নীলাচলে দাঁড়িয়ে পাখির চোখে দেখা মেঘে ঢাকা শহরটি বান্দরবান৷ আকাশে মেঘ না থাকলে শহরের পাশের সাঙ্গু নদীকেও খালি চোখে দেখা যায়৷মেঘে ডুবে যাওয়া নীলাচলে পর্যটক৷ বর্ষা, শরৎ আর হেমন্ত- এই তিন ঋতুতে নীলাচলে মেঘের লুকোচুরি বেশি দেখা যায়৷ 
Nilachal, Bandarban, Bangladesh
Beauty of Bangladesh নীলাচল
নীলাচলের পাহাড়ে বনফুল৷ এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য নীলাচল পাহাড়ের চারপাশেই দেখা যায়৷নির্জন পাহাড়ের কোলে কোলে নীলাচলে আছে ‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’, ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’সহ বেশ কয়েকটি স্পট৷ প্রকৃতিকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য স্পটগুলোর জুড়ি নেই৷


স্বর্ণ মন্দির
স্বর্ণমন্দিরঃ বান্দরবানের উপশহর বালাঘাটাস্থ পুল পাড়া নামক স্থানে এর অবস্থান। বান্দরবান জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব  কিলোমিটার। সুউচ্চ পাহাড়ের চুড়ার তৈরী সুদৃশ্য  প্যাগোডা। এটি বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান  ভেনইউ পান্নইয়া জোতা মাহাথেরো ২১ শতকে এটি নির্মাণ করেন।বুদ্ধ ধাতু জাদি যা বান্দরবন স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিতবাংলাদেশের বান্দরবন শহরের বালাঘাটা এলাকায় অবস্থিত। ধাতু বলতে কোন পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তুকে বোঝায়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির
Gold Temple, Bandarban, Bangladesh
Beauty of Bangladesh স্বর্ণ মন্দির

বৌদ্ধ মন্দির স্থানীয়দের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত। বুদ্ধ জাদি পাই কিয়াং চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবন জেলায় অবস্থিত। বান্দরবন জেলায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং কেওকারাডং অবস্থিত। শহরকে বেস্টন করে সাঙ্গু নদী বয়ে চলেছে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি বালাঘাট থেকে  কিমি এবং বান্দরবন সদর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩শত ফুট উচুতে হলে  সব মৌসুমেই পানি থাকে। বৌদ্ধ ভানে-দের মতেএটা দেবতার পুকুর তাই এখানে সব সময় পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এই জাদিটি এখন বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয় দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষনীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির
Gold Temple, Bandarban, Bangladesh

এখানে দেশ বিদেশ থেকে অনেক বুদ্ধ ধর্মালম্বী দেখতে এবং প্রার্থনা করতে আসেন। এর অপর নাম মহাসুখ প্রার্থনা পূরক বুদ্ধধাতু চেতী। গৌতমবুদ্ধের সম-সাময়িক কালে নির্মিত বিশ্বের সেরা কয়েকটি বুদ্ধ মুর্তির মধ্যে একটি এখানে রয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে  প্রকল্প নির্মানাধীন রয়েছে। এই প্যাগোডাটি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সেরা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সুউচ্চপাহাড়ের উপর দেবতা পুকুর নামে একটি পানি সম্বলিত ছোট পুকুর আছে। এই প্যাগোডা থেকে বান্দরবানের বালাঘাটা উপশহর  এর আশপাশের সুন্দর নৈস্বর্গিকদৃশ্য দেখা যায়।  ছাড়া বান্দরবান রেডিও ষ্টেশনবান্দরবান চন্দ্রঘোনা যাওয়ার আকাঁবাকাঁ পথ  দর্শনীয়। এই প্যাগোডা একটি আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। প্রতিবছর নিদ্দিষ্ট সময়ে এখানে মেলা বসে। এই প্যাগোডা বা জাদীটি স্বর্ণ মন্দির হিসেবেও পরিচিত।  প্যাগোডাটি পুজারীদের জন্য সারাদিন খোলা থাকে আর ভিন্ন ধর্মাবলী দর্শনার্থীদের জন্য বিকেল  টা থেকে সন্ধ্যা  টা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়  প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০/-
Gold Temple, Bandarban, Bangladesh
Beauty of Bangladesh স্বর্ণ মন্দির

বর্তমানে
 স্বর্ণমন্দির উপাশনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। এটি বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাশনালয়। এটির নির্মাণশৈলী মায়ানমারচীন  থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর আদলে তৈরী করা হয়। বান্দরবান ভ্রমণে আপনিও এই জাদী বা স্বর্ণমন্দিরটি একবার স্বচক্ষে দেখে আসতে পারেন
এই প্যাগোডা থেকে বান্দরবানের বালাঘাটা উপশহর  এর আশপাশের সুন্দর নৈস্বর্গিকদৃশ্য দেখা যায়।  ছাড়া বান্দরবান রেডিও ষ্টেশনবান্দরবান চন্দ্রঘোনা যাওয়ার আকাঁবাকাঁ পথ  দর্শনীয়। এই প্যাগোডা একটি আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। প্রতিবছর নিদ্দিষ্ট সময়ে এখানে মেলা বসে।  প্যাগোডাটি পুজারীদের জন্য সারাদিন খোলা থাকে।২০০০ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ধাঁচে বার্মার স্থাপত্যবিদের তত্ত্বাবধানে মন্দিরটি নির্মিত হয়


  • 2Blogger Comment
  • Facebook Comment

2 Comments